কাবা ঘরের চাবি হস্তান্তর
নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহ থেকে বের হওয়ার পর উসমান বিন তলহা, যার কাছে ইতোপূর্বে চাবি ছিলো, তাঁর কাছেই হস্তান্তর করেন। তখন হযরত আলী রা. আবেদন করলেন,
يَا رَسُوْلَ اللهِ، لَئِنْ كُنَّا اوتِينَا النُّبُوَّةَ، وَاعْطِينَا السِّقَايَةَ، وَاعْطِينَا الْحِجَابَةَ، مَا قَوْمٌ بِاعْظَمَ نَصِيبًا مِنَّا،
‘হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের খান্দানে নবী পাঠানো হয়েছে, আমাদেরকেই হাজীদের পানি পান করানো সৌভাগ্য দান করা হয়েছে। এর সাথে সাথে যদি বাইতুল্লাহর দারোয়ানীর সৌভাগ্যও আমাদের হতো, তবে আমাদের চেয়ে দুনিয়ার বুকে ভাগ্যবান কোনো সম্প্রদায় আর হতো না..!!
নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী রা. এর এ কথাটি অপছন্দ করলেন। এবং চাবিটি কাবা ঘরের আগের দারোয়ান উসমান ইবনে তালহা কে অর্পণ করলেন এবং বললেন,
«خُذُوهَا يَا بَنِي طَلْحَةَ خَالِدَةً تالدةً لَا يَنْزِعُهَا مِنْكُمْ الَّا ظَالِمٌ»
‘হে তলহার বংশধর! এ চাবি নিয়ে নাও। আজীবনের জন্য এ সৌভাগ্য তোমাদের জন্য রইলো। কোনো জালেম-অত্যাচারি ব্যক্তি ছাড়া এ চাবি তোমার থেকে কেউ কেড়ে নেবে না।’ (তাবারানী কাবীর, হা. নং ৮৩৯৫, ১১২৩৪)
উসমান বিন তলহাকে চাবির দায়িত্ব অর্পণ করার পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। এরপর নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আব্বাস রা. কে হজ্বের সময় হাজীদেরকে পানি পান করানোর দায়িত্ব অর্পণ করেন। (মাজমাউজ যাওয়ায়েদ, ৫৭০৭, ১০২৫৪; তাবাকাতে ইবনে সা‘আদ, ২:৩১৮)
মক্কার ইথারে আবারো তাওহীদের বুলন্দ আওয়াজ...
এরপর নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেলাল রা. কে আযান দেওয়ার নির্দেশ দান করেন। বেলাল রা. বাইতুল্লাহর ছাদে উঠে যান এবং তাওহীদ ও রিসালাতের স্বাক্ষ্য সম্বলিত আযানের ধ্বনি উচ্চারণ করেন। এ যেন মক্কা বিজয়ের চূড়ান্ত ঘোষণা বাতাসের ডানায় ভর করে ইথারে ইথারে ছড়িয়ে দেওয়া।! (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হা. নং ৩৮০৫৫)
মক্কাবাসীর ইসলাম গ্রহণ এবং নবীজীর হাতে বাই‘আত
নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কাবাসীকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার পর মক্কাবাসী ব্যাপকভাবে ইসলাম গ্রহণ করা শুরু করে। বাই‘আত গ্রহণের জন্য নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফা পাহাড়ের উপর বসে যান। প্রথমে পুরুষদের থেকে এরপর নারীদের থেকে বাই‘আত গ্রহণ করেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৪:৩৪৩)
নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের থেকে ‘ইসলাম’ ও ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ এর স্বাক্ষের উপর বাই‘আত গ্রহণ করেন। (মুসনাদে আহমাদ, হা. নং ১৫৪৩১)
নারীদের ক্ষেত্রে নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাতে হাত রেখে বাই‘আত করতেন না, বরং কথার মাধ্যমে বাই‘আত করে নিতেন। আম্মাজান আয়েশা রা. বলেন,
لا وَاللهِ مَا مَسَّتْ يَدُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَ امْرَاةٍ قَطُّ، غَيْرَ انَّهُ بَايَعَهُنَّ بِالكَلامِ، وَاللهِ مَا اخَذَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى النِّسَاءِ الَّا بِمَا امَرَهُ اللهُ، يَقُولُ لَهُنَّ اذَا اخَذَ عَلَيْهِنَّ: «قَدْ بَايَعْتُكُنَّ» كَلامًا
আল্লাহর কসম! নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনোই কোনো পরনারীর হাত স্পর্শ করেননি, বরং তিনি কথার মাধ্যমে নারীদেরকে বাই‘আত করতেন। আল্লাহর শপথ! নবীজী আল্লাহর নির্দেশ মতে যে সকল নারীকে স্পর্শ করা বৈধ তাদের ছাড়া অন্য কোনো নারীকে স্পর্শ করেননি, বরং তিনি যখন নারীদের বাই‘আত গ্রহণ করতেন, তখন কেবল মৌখিকভাবে বলতেন, “আমি তোমাদেরকে বাই‘আত করে নিয়েছি।” (বুখারী শরীফ, হা. নং ৫২৮৮)
উম্মে হানী রা. এর ঘরে নামায আদায়
উম্মে হানী রা. ছিলেন নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচাতো বোন, আবু তালেবের কন্যা। নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মে হানী রা. এর ঘরে প্রবেশ করে গোসল করেন এবং দুই দুই করে আট রাকা‘আত চাশতের নামায আদায় করেন। (বুখারী শরীফ, হা. নং ৪২৯২; আবু দাউদ, হা. নং ১২৯০)
গোসল ও নামায আদায় শেষ করে নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ অবস্থানস্থল তথা মুহাস্সাব, যেখানে নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের তাবু টানানো হয়েছিলো, সেখানে চলে যান। (ফাতহুল বারী, ৭:৬৫৭)
দ্বিতীয় দিনের খুতবা
ফাতহে মক্কার সফরে নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনসম্মুখে দুটি খুতবা প্রদান করেন। একটি. ফাতহে মক্কার দিন, কাবা ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে। দ্বিতীয়টি. বিজয়ের দ্বিতীয় দিন। (তাবাকাতে ইবনে সা‘আদ, ২:৩১৮)
সাহাবী হযরত আবু শুরাইহ রা. ফাতহে মক্কার দ্বিতীয় দিনে নবীজীর প্রদত্ত খুতবা বর্ণনা করে বলেন, ‘নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে প্রথমে আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করেন। এরপর বলেন,
انَّ مَكَّةَ حَرَّمَهَا اللهُ، وَلَمْ يُحَرِّمْهَا النَّاسُ، فَلا يَحِلُّ لِامْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَاليَوْمِ الاخِرِ انْ يَسْفِكَ بِهَا دَمًا، وَلا يَعْضِدَ بِهَا شَجَرَةً، فَانْ احَدٌ تَرَخَّصَ لِقِتَالِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا، فَقُولُوا: انَّ اللهَ قَدْ [ص:33] اذِنَ لِرَسُولِهِ وَلَمْ يَاذَنْ لَكُمْ، وَانَّمَا اذِنَ لِي فِيهَا سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، ثُمَّ عَادَتْ حُرْمَتُهَا اليَوْمَ كَحُرْمَتِهَا بِالامْسِ، وَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الغَائِبَ "
অপর বর্ণনায় খুতবার আরো কিছু অংশ এভাবে এসেছে,
لا يُنَفَّرُ صَيْدُهَا، وَلا يُعْضَدُ شَوْكُهَا، وَلا يُخْتَلَى خَلاهَا، وَلا تَحِلُّ لُقَطَتُهَا الَّا لِمُنْشِدٍ». فَقَالَ العَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ المُطَّلِبِ: الَّا الاذْخِرَ يَا رَسُولَ اللهِ، فَانَّهُ لا بُدَّ مِنْهُ لِلْقَيْنِ وَالبُيُوتِ، فَسَكَتَ ثُمَّ قَالَ: «الَّا الاذْخِرَ فَانَّهُ حَلالٌ»
নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলাই মক্কাকে হারাম (সম্মানিত) করেছেন। লোকেরা করেনি। কাজেই আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাসী কোনো মুমিনের জন্য সেখানে রক্তপাত করা বৈধ নয়। কিংবা সেখানের কোনো গাছ কাটা ও (অপর বর্ণনামতে) কোনো শিকার করা, বা ঘাস কাটাও বৈধ নয়। সেখানের পতিত কোনে বস্তুও তুলে নেওয়াও বৈধ নয়। তবে যে মালিক সন্ধান করার উদ্দেশ্যে নেয়, তার জন্য বৈধ আছে। (বুখারী শরীফ, হা. নং ১০৪, ৪৩১৩)
এরপর নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্বাস রা. এর আবেদনে প্রয়োজনের তাগিদে ‘ইজখির’ (ঘাস বিশেষ) কে কাটার বৈধতা দেন। এরপর বলেন,
‘কেউ যদি (ফাতহে মক্কার সময়কালীন) রাসূলের লড়াই দ্বারা রক্তপাতের বৈধতার সুযোগ নিতে চায়, তবে তাকে বলে দাও যে, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূলকে বৈধতা দিয়েছিলেন, তোমাদেরকে দেননি, আর রাসূলের জন্য দেয়া বৈধতাও দিনের নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য ছিলো। এরপর তা আগের মতো হারাম করে দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক উপস্থিত ব্যক্তি এ কথাগুলো অনুপস্থিতের নিকট পৌছে দেবে!
মক্কার অশেপাশের মূর্তিভাঙা
নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কা বিজয় করেন, তখন কেবল মসজিদে হারামে বা কাবার অভ্যন্তরেই মূর্তি ছিলো এমন নয়; বরং মক্কার আশেপাশেও অনেক মূর্তি ছিলো। নবীজী সাহাবায়ে কেরাম কে প্রেরণ করে সে সকল মূর্তিও ভেঙে ফেলেন। এ সকল মূর্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলো তিনটি,
১. উয্যা:
মক্কা ও তায়েফের মধ্যবর্তী স্থানে তা নির্মিত ছিলো। নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম খালেদ রা. কে প্রেরণ করেন তা ভেঙে ফেলার জন্য। খালেদ রা. তা চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলেন।
২. লাত:
তায়েফের ‘সাকীফ’ গোত্রের পূজনীয় ছিলো। নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুগীরা ইবনে শু‘বা ও আবু সুফিয়ান রা. কে প্রেরণ করেন তা ভেঙে ফেলার জন্য। ফলে তা ভেঙে ফেলা হয়।
৩. মানাত:
মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী ‘কুদাইদ’ নামক স্থানে স্থাপিত ছিলো। জাহেলী যুগে মদীনার আওস, খাযরায ও খুজাআ গোত্রের পূজনীয় ছিলো। নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু সুফিয়ান রা. কে তা ভেঙে ফেলতে পাঠান। ফলে সেটাও ভেঙে ফেলা হয়। (আসসুনানুল কুবরা, নাসায়ী, ১১৪৮৩; তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৭:৪৫৯)
এভাবে মক্কার আশেপাশের সমস্ত মূর্তিও নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভেঙে ফেলেন। নবীজীর এ কর্মপন্থাও সুস্পষ্টরূপে প্রমাণ বহণ করে যে, ইসলামে ভাস্কর্য সংস্কৃতির কোনো বৈধতা নেই!
প্রিয় কে পেয়েও হারানোর শঙ্কা!
নবুওয়্যাত রবি তো উদিত হয়েছিলো মক্কার আকাশে। কিন্তু দূর্ভাগ্য ছিলো মক্কাবাসীর, সে রবীর রশ্মিকে তারা সযত্নে গ্রহণ করতে পারেনি। সৌভাগ্য লেখা ছিলো মদীনাবাসীর, যারা সে আলো গ্রহণ করেছিলো কৃতজ্ঞ হৃদয়ে, সহাস্য বদনে। পরম আনন্দে আন্দোলিত হয়েছিলো মদীনার পবিত্র ভূমি...তলা‘আল বাদরু আলাইনা...!!
কিন্তু ফাতহে মক্কার সময় নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কায় অবস্থান করলেন, স্বভাবতই আনসারী সাহাবীদের মনে শংকা দেখা দিলো যে, তাহলে কি নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় থেকে যাবেন? ‘প্রিয়’ কে পেয়েও তাকে হারানোর শংকায় তাদের হৃদয়-মন কেঁদে উঠলো!
মুহাব্বাতের আতিশয্যে কিছু সাহাবী তো তাদের শংকার কথা ব্যাক্তও করে ফেললেন। ওহীর মাধ্যমে নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা জানতে পেরে আনসারী সাহাবাদেরকে আশ্বস্ত করে বললেন,
«كَلَّا، انِّي عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُهُ، هَاجَرْتُ الَى اللهِ وَالَيْكُمْ، وَالْمَحْيَا مَحْيَاكُمْ وَالْمَمَاتُ مَمَاتُكُمْ»
‘কখনোই না, আমি আল্লাহর বান্দা এবং রাসূল। আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদের কাছে হিজরত করেছি। আমার বেঁচে থাকাও তোমাদের সাথে এবং মৃত্যুও তোমাদের সাথে..!! (মুসলিম শরীফ হা. নং ১৭৮০)
কতদিন ছিলেন মক্কায়
মক্কা বিজয়ের পর নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে মোট উনিশ দিন অবস্থান করেন। এরপর নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়েকেরামকে নিয়ে মাতৃভূমি ত্যাগ করেন। (বুখারী শরীফ, হা. নং ৪২৯৮)
মক্কা বিজয়ের কিছুদিন পর নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তায়েফ অভিমুখে অভিযান পরিচালনা করেন, তখন সাহাবী হযরত হুবাইরা ইবনে শিবল রা. কে মক্কার গভর্ণর নিযুক্ত করেন। এরপর তায়েফ অভিযান শেষ করে যখন মদীনা অভিমুখে রওয়ান হন, তখন হযরত আত্তাব ইবনে আসীদ রা. কে মক্কার গভর্ণর নিযুক্ত করেন।
মক্কা বিজয় কি সন্ধিমূলক না কি বলপূর্বক ?
আল্লাহ তা‘আলা যখন মুসলমানদেরকে কোনো দেশের বিজয় দান করেন, তখন সে দেশটি সন্ধির মাধ্যমে বিজিত হলো? না কি বলপূর্বক বিজিত হলো? তা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে উঠে। যেহেতু এর সাথে ইসলামের ভূমি আইন সম্পর্কিত অনেক হুকুম আহকামের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ প্রাসঙ্গিতার বিচারে ঐতিহাসিক মক্কা বিজয় সন্ধির মাধ্যমে হয়েছে না কি বলপূর্বক হয়েছে? তাও একটি গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন ।
এ প্রশ্নের উত্তরে উলামায়ে কেরামের মতবিরোধ রয়েছে। তবে অগ্রগণ্য মত হলো যে, মক্কা সন্ধির মাধ্যমে নয়; বরং বলপূর্বক বিজিত হয়েছে।